মোঃ মামুন হোসেনঃ– পবিত্র ঈদে পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা জানাতে কিছু দিন আগেও তরুণ-তরুনী সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের প্রধান বার্তা ছিল ঈদ কার্ড।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শুরু করে শহরে নানা দোকানে ঈদ কার্ড পাওয়া যেত। “রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশির ঈদ” জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সুরে সুরে তাল মিলিয়ে ঈদের আনন্দ কে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এক সময় বিভিন্ন ধরণের আবেগময় বার্তা দিয়ে সাজিয়ে বিলিয়ে দেওয়া হত ঈদ কার্ড। কে কত ঈদ কার্ড বানাতে বা কিনতে পারবে, সেটি নিয়ে শুরু হয়ে যেত প্রতিযোগীতা।
ঈদের সময় শহরের প্রধান সড়কের উপহার শপিং মহল সংলগ্ন বেশ কয়েকটি দোকানে ঈদ কার্ডের ব্যবসা হত রমরমা। এই দোকানগুলিতে ঈদের সময় থাকতো ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদ কার্ড তার ঐতিহ্য হারনোর ফলে এই সকল দোকানীরা তেমন আর ঈদ কার্ড রাখে না দোকানে। আবার অনেকে এই ব্যবসা ছেড়ে চলে গেছেন। আবার অনেকে ব্যবসার ধরণ পরিবর্তন করেছে। কেউ ঈদ কার্ড ছেড়ে বিবাহের কার্ডের ব্যবসা ধরেছেন।
সাতক্ষীরা শহরের কয়েকজন কার্ড ব্যবসায়ী জানালেন, কয়েক বছর আগে আমরা প্রতি ঈদের সময় প্রতিদিন ঈদের কার্ড বিক্রি করেছি শতাধিক। গত সাত দিনে এবার বিক্রি করেছি মাত্র কয়েকটি। ভাবছি সামনের ঈদের সময় আর ঈদ কার্ড রাখবো না। ডিজিটাল যুগে আর কেউ ঈদ কার্ড কিনতে চায় না।
মোবাইলে এসএমএম দিলে খরচ কম এবং অনেক দূরপ্রান্তে তা পৌঁছানো সহজ। ঈদ কার্ড যেভাবে দ্রুত তার ঐতিহ্য হারাচ্ছে, কয়েক বছর পর আগামী প্রজন্ম হয়তো জানবেই না ঈদ কার্ড আসলে কি।