অনলাইন ডেস্ক: করোনা আক্রান্ত রোগীদের ওপর ইবোলার ড্রাগ রেমডেসিভির প্রয়োগ করে সুফল পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি শিকাগো হাসপাতালের ডাক্তাররা দাবি করেছেন, সংক্রামিত ১২৫ জন রোগীর ওপর ট্রায়াল করে দেখা হয়েছিল এই ড্রাগ। তাতে আশ্চর্য রেজাল্ট পাওয়া গেছে। শিকাগো ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ক্যাথলিন মুলানে বলছেন, সুখবর হল হাসপাতালের বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত রোগীর ওপর প্রয়োগ করা হয়েছিল এই ড্রাগ। তাদের মধ্যে কয়েকজন সংক্রমণ সারিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকিদের শারীরিক অবস্থাও অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে এখনই এই ড্রাগের সার্বিক প্রয়োগ নিয়ে সবুজ সঙ্কেত দেননি শিকাগোর ডাক্তাররা।
রেমডেসিভির ড্রাগের আবিষ্কারক আমেরিকার জিলেড সায়েন্সেস। ২০১০ সালে ইবোলার প্রতিষেধক হিসেবে এই ড্রাগ তৈরি করা হয়। ভারতেও এই ড্রাগ নিয়ে গবেষণা চলছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিন অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)। এপিডেমোলজি অ্যান্ড কমিউনিকেবল ডিজিজের প্রধান রমন আর গঙ্গাখেড়কার বলেন, দেহকোষে যদি ভাইরাল স্ট্রেন সার্স-কভ-২ এর ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে পারে এই অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ, তাহলেই রোগীর শরীরে সংক্রমণ কমতে শুরু করবে।
ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্লোরোকুইনের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিকের মিশ্রণের মাধ্যমেও করোনাভাইরাস সারানোর পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতেও প্রাথমিকভাবে ফল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ সংস্থা (এফডিএ)। এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ওষুধটি (ক্লোরোকুইন) ভালো ফল দিয়েছে। আমরা প্রেসক্রিপশন দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ওষুধটি সরবরাহ করতে পারব। এই ওষুধের পাশাপাশি ইবোলা ও মারবার্গ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যে ওষুধ ব্যবহার হতো সেটিকেও ব্যবহার করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। রাশিয়াও করোনার চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ অনুমোদন দিয়েছে।