আশাশুনি ভিপি সহকারির বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুর্নীতি ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

38

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার অমল কান্তি ঘোষের যোগসাজসে ভিপি সহকারি মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে লাগামহীন অনিয়ম, দূনীতি, সরকারী রাজস্ব ফাঁকিসহ নানাবিধ সমস্যার অভিযোগ পাওয়াগেছে।

এলাকার সরলপ্রান সাধারণ মানুষের বেকায়দায় ফেলে উৎকোচ গ্রহন, নিয়ম বর্হিভূত কার্যক্রম নিয়মে পরিনত করেছে। কোভিট-১৯ এর কারণে সরকারিভাবে বদলি না করার সুযোগে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আদেশ নির্দেশ অবজ্ঞা করে অফিসের কর্তাব্যক্তিদের ভূল বুঝিয়ে উদুর পিন্ডি বুদুর ঘাড়ে চাপাতে দ্বিধা না করার অভিযোগ ভারী হতে চলেছে।

তথ্যনুসন্ধানে জানাগেছে, অনেক অভিযোগের মধ্যে ইং ১৯৯২ সাল হতে অদ্যাবধি আশাশুনি উপজেলাধীন লাঙ্গলদাড়িয়া ও গাজীপুর মৌজায় কালিগঞ্জ উপজেলার বন্ধকাটি গ্রামের মৃত কুরবান আলী মোড়লের পুত্র চিংড়ী ব্যবসায়ে একাধিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত চিংড়ী চাষী আলহাজ্ব আব্দুস ছাত্তার মোড়ল প্রায় ৬ শত বিঘা জমির একটি মৎস্য ঘের করে আসছেন।

২০১৫ সালে সরকার ওই ঘেরের মধ্যে সাবেক ৪৫৫ ও ৪৫৬ দাগে ৪.৫২ একর সম্পত্তি আইনের ফাক ফোকড় দিয়ে ০১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়। কিন্তু, উল্লেখিত সম্পত্তি মালিক পক্ষের কাগজপত্রদি প্রদর্শনপূর্বক ব্যক্তি মালিকানায় বর্তমান আরএস রেকর্ড হয়েছে বলে জানাগেছে।

এ দিকে সাবেক দাগ হিসেবে ওই সম্পত্তি খাস খতিয়ান হতে অবমুক্তির লক্ষে মূল মালিকগন কর্তৃক মামলাও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এরই মধ্যে বাংলা ১৪২৬ সনের বকেয়া রাজস্ব গ্রহন না করে উল্লেখিত কর্মকর্তাগন মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে দখল বিহিন ৯ জন ব্যক্তিদের মাঝে প্রত্যেককে ৫০ শত করে মোট ৪.৫২ একর জমি শুধুমাত্র বাংলা ১৪২৭ সনের রাজস্ব নিয়ে ইজারা প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। চিংড়ী নীতিমালা অনুযায়ী দখলবিহিন ইজারা প্রদান করায় গত ১৫ জুন’২০ তারিখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সাতক্ষীরা আদালতে ডিসিআর’র বিরুদ্ধে জমির প্রকৃত দখলদার আলহাজ্ব আব্দুস ছাত্তার মোড়ল মিস আপীল ৪৬/২০ নং পিটিশন মামলা দায়ের করেন। এরপর দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক গত ২৯ ডিসেম্বর’২০ তারিখে আফসার আলীসহ ৯ জন ডিসিআর ধারী ব্যক্তির বেদখল প্রমানীত হয় বলে রায় প্রদান করেন।

ফলে আফসার আলী গংদের রাজস্ব জমা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে মানবিক কারনে ক্ষতি পুশিয়ে নিতে বাংলা ১৪২৭ সনের প্রকৃত দখলীয় ঘের মালিক আব্দুস সাত্তার মোড়লকে হারী প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। এদিকে, ভিপি সহকারি মোস্তাফিজুর রহমান পার্শ্ব চাপে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তাকে দিয়ে বাংলা ১৪২৮ সনের জন্য প্রকৃত দখলদারের পক্ষে প্রতিবেদন না দিয়ে অধিক উৎকোচের বিনিময়ে দখল বিহিন ব্যক্তিদের নামে একসনা ইজারা প্রদানে সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বাধ্য করেছেন বলে প্রচার রয়েছে।

এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) আশাশুনির নিকট পূনঃতদন্ত চেয়ে নতুন করে একটি আবেদনও করা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে। এ ছাড়া গত বাং ১৪২৭ সনের জন্য ঘের মালিক আব্দুস সাত্তার মোড়ল অতিঃ জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর একসনা ইজারার আবেদন করলে গত ২৭ সেপ্টম্বর’২০ তারিখে ১১৩৩ নং স্মারকে সহকারি কমিশনার (ভূমি) আশাশুনিকে চিংড়ী নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়।

কিন্তু ভিপি সহকারি মোস্তাফিজুর রহমান অতিঃ জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আদেশটিকে ফাইল বন্ধি করে উর্দ্ধতন কমকর্তার পত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিবেদন না দিয়ে দখল বিহিন আফসার আলী গংদের একসনা ইজারা প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার মোড়ল জানান, ভিপি সহকারি মোস্তাফিজুর রহমান ও সার্ভেয়ার অমল কান্তি ঘোষের দৈ¦ত নীতির কারনে আমি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি। আমি সঠিক তদন্তপূর্বক উল্লেখিত ব্যক্তিদের ব্যবস্থা গ্রহনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ঘটনায় অতিঃ জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)’র সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার সবই গোচরীভূত রয়েছে। অতি সত্ত্বর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।