আশাশুনি প্রতিনিধি ।। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ও পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই বাজারে নিত্য পণ্যের মূল্য ওঠানামা করছে। বেশ কিছু জরুরী পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও আবার অনেক পণ্যে মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে বা কমেছে।
করোনাভাইরাসের কারনে কিছু কিছু পণ্যের আমদানী সমস্যার কারনে মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটলেও অধিকাংশ পণ্য এলাকায় উৎপাদন ও সরবরার থাকায় মূল্য স্থিতিশীল বা কোন কোনটির মূল্য কমে গেছে। তবে পবিত্র রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশী সেসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। বুধহাটা বাজার ঘূরে দেখাগেছে, মূল্য বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পণ্যের মধ্যে আদা আগে ছিল ২৫০ টাকা, বর্তমানে ৪৫০ টাকা, টমেটো আগে ছিল ২২ টাকা বর্তমানে ২৪ টাকা, বেগুন আগে ছিল ৩০ টাকা এখন ৫০ টাকা, পোল্ট্রি মুরগী (আস্ত) আগে ছিল ৯০ টাকা বর্তমানে ১৩০ টাকা, প্যারিস মুরগি আগে ছিল ১৩০ টাকা, বর্তমানে ১৭০ টাকা, আটা আগে ছিল ২২ টাকা বর্তমানে ২৫ টাকা, ময়দা আগে ছিল ৩৬ টাকা, বর্তমানে ৩৮ টাকা, চিনি আগে ছিল ৬৩ টাকা বর্তমানে ৬৬ টাকা, ছোলা আগে ছিল ৭০ টাকা বর্তমানে ৭৮ টাকা, হলুদ আগে ছিল ১৬০ টাকা বর্তমান ১৮০ টাকা, শুকনা ঝাল আগে ছিল ২৮০ টাকা বর্তমানে ৩৬০ টাকা, ইরানী জিরা আগে ছিল ৪০০ টাকা বর্তমানে ৫০০ টাকা, ইন্ডিয়ান জিরা আগে ছিল ৩০০ টাকা বর্তমানে ৪৮০ টাকা, গোলমরিচ আগে ছিল ৪০০ টাকা বর্তমানে ৪৫০ টাকা, মুড়ি আগে ছিল ৬৫ টাকা বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা ঝাল আগে ছিল ৩৫ টাকা বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে।
খেজুর, আঙ্গুর, আপেল, মালটাসহ ফলফলাদির মূল্যও অনেক বেশী হয়েছে। তবে যেসব পণ্যের মূল্য কমেছে তার মধ্যে দেশি পেঁয়াজ আগে ছিল ৫৮ টাকা, বর্তমানে ৪৫ টাকা কেজি, রসুন আগে ছিল ১১০ টাকা, বর্তমানে ১১০ টাকা, লুজ সয়াবিন তেল আগে ছিল ৯৩ টাকা বর্তমানে ৯৩ টাকা, সুপার সয়াবিন আগে ছিল ৮৫ টাকা বর্তমানে ৮০ টাকা, মশুর ডাল আগে ছিল ৯০ টাকা বর্তমানে ৮৫ টাকা, মুরগির ডিম আগে ছিল ৩২ টাকা হালি বর্তমানে ২৪ টাকা হালি, পটল আগে ছিল ৩০ টাকা বর্তমানে ২০ টাকা, উচ্ছে আগে ছিল ৪০/৫০ টাকা বর্তমানে ৩০ টাকা, আলু আগে ছিল ২২ টাকা বর্তমানে ২২ টাকা, মিষ্টি কুমড়া আগে ছিল ২০ টাকা বর্তমানে ১২ টাকা, সজিনা আগে ছিল ৮০ টাকা বর্তমানে ৮০ টাকা, খেরাই আগে ছিল ৫০ টাকা বর্তমানে ৩০ টাকা, কাঁচকলা আগে ছিল ২৫/৩০ টাকা বর্তমানে ২৫/৩০ টাকা, পুইশাক আগে ছিল ১৫ টাকা বর্তমানে ১০/১২ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে।
এদিকে উপজেলার কাদাকাটি, গোয়ালডাঙ্গাসহ অনেক বাজারে আরও বেশী দামে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রয় হচ্ছে। কাজেই উপজেলার বাজারগুলো আরও জোরালোভাবে মনিটরিং এর আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।