এম এম নুর আলম, আশাশুনি: ঢাকা থেকে করোনা আক্রান্ত এক রোগী আশাশুনিতে পালিয়ে আসার ঘটনায় তার সংস্পর্শে এসেছেন এমন ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা এসব লকডাউনকৃত বাড়ির সামনে হাজির হয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাড়িতে থাকা সদস্যদের খোঁজখবর নেন, তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন ও তাদের বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। জানাগেছে, করোনা আক্রান্ত ঐ গার্মেন্টস কর্মী নিলুফা ইয়ামিন (২৪) আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা গ্রামের জামাল মোড়লের মেয়ে।
সে তার পিতার বাড়িতে সকলের সংস্পর্শে আসলে বেউলার ঐ বাড়িটি লকডাউন কার হয। এছাড়াও তার সংস্পর্শে আসা এমন ব্যক্তিদের বাড়ি কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়ায় ২টি, আগরদাড়িতে ৩টি ও মহাজনপুরের ১টি বাড়ি লকডাউন করা হয়। এসময় লকডাউনকৃত ঐসব বাড়ির সামনে তিনি হাজির হয়ে বাড়িতে থাকা সদস্যদের খোঁজখবর নেন, তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন, বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন, তাদের বাড়ির আশেপাশে বসবাসরত বাড়ির সদস্যদের বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন, গ্রাম পুলিশ ও সেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে পাহারা বাসানোর নির্দেশ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
খাদ্য সামগ্রী প্রদান ও দিকনির্দেশনা প্রদানকালে কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম পান্না, আলমগীর হোসেন আঙ্গুর সহ পুলিশ ফোর্স ও গ্রাম পুলিশবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে পালানো করোনা আক্রান্ত ঐ রোগীকে উদ্ধার করতে বুধবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে মোবাইল ফোন ট্র্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করে একটি ফোন নম্বর ও বাড়ির হোল্ডিং নম্বর দেয়া হয়েছিলো। তবে সেই বাড়িতে গিয়ে বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় পান আশাশুনি থানা পুলিশ। পরবর্তীতে স্থানীয়দের মারফত জানা যায় তার নানা বাড়ি কুল্যা ইউনিয়নের ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে গিয়েছেন। সেখানে গিয়েও করোনা আক্রান্ত সেই রোগীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
পরে এসপি (দেবহাটা সার্কেল) আলহাজ্ব শেখ ইয়াছিন আলীর নেতৃত্বে বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মহাজনপুর ফুটবল মাঠ এলাকার একটি মৎস্য ঘেরের বাসা থেকে তাকে ও তার স্বামী সোহেলকে উদ্ধার করে এ্যাম্বুলেন্স যোগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। উদ্ধারের আগে যেসব ব্যক্তিদের সংষ্পর্শে তারা এসেছিল সেসব বাড়ি লকডাউন করা হয়।