আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের নৈকাটিতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ আফরোজা খাতুন (১৮) এর আত্মহত্যা নিয়ে এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
রবিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের নৈকাটি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আফরোজা খাতুন নৈকাটি গ্রামের আনিছুর রহমানের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের পাইথালী গ্রামের আজাদুল সরদারের কন্যা।
সরেজমিন ঘুরে ও পরিবার সূত্রে জানাগেছে, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৬টার দিকে আনিছুর এবং তার পিতা কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে স্থানীয় কেনা গাজীর ছেলে তোফায়েল (১৬)কে তাদের (আনিছুর) বাড়িতে ডিম এবং ডাউল দিয়ে আসতে বলে যায়।
পরে সকাল ৯টার দিকে তোফায়েল ডিম এবং ডাউল নিয়ে গিয়ে বাড়ির বারান্দা এবং ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পাই। ডাকাডাকির পর সাড়া শব্দ না পেয়ে বারান্দার বাঁশের বেড়া সরিয়ে ঘরের দরজা খুলে দেখে আফরোজার গলায় উড়নার ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঘরের আড়ার সাথে বাঁধা এবং পা খাটের নিচের দিকের মেঝেতে বাঁকানো।
এসময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
পরে খবর পেয়ে আশাশুনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আফরোজাকে মৃত্যু অবস্থায় নামিয়ে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
এদিকে, আফরোজার গলায় ফাঁস উল্টো, পা মেঝেতে বাঁকানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এবং খাট ও গ্লাসের সোকেচের ফাঁকে ২ফুট জায়গার মধ্যে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করার পরেও খাটের বেডসিট সুন্দর গোছানো অবস্থায় থাকা এছাড়াও সোকেচের কাঁচ অক্ষত থাকায় জনমনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা?
এঘটনায় আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবির বেলা ১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।