সমাজের সেসব মানুষের গল্পের মেলা, যারা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেবা দিয়ে আসছেন আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসেবা দিয়ে ৩৬৫ দিনজুড়ে, গ্রাম কিংবা শহরে।
সেসব খুচরা ব্যবসায়ী (মুদি দোকান) ও নারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে নিয়ে ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী ও ভোগ্যপণ্য বিপণনকারী কোম্পানির সম্মিলনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে, ‘ডিজিটাল বাণিজ্য মেলা ২০১৮’।
৪ জেলায় (শেরপুর, জামালপুর, টাঙ্গাইল এবং সিরাজগঞ্জ) ৩৩ উপজেলার ১০ হাজার খুচরা ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন এবং সে অঞ্চলের জনমানুষের মাঝে ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও ভোক্তা অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড, ডিনেট, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি (বিডিএমএস) এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) যৌথভাবে বাংলাদেশে তিন বছরমেয়াদি ‘শেপিং ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স ট্রান্সফরমেশন ইন সার্ক: মার্চেন্ট ডেভেলপমেন্ট ড্রাইভিং রুরাল মার্কেটস (শিফট)’ নামক একটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
এই কর্মসূচি অর্থায়ন করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য হলো প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চাহিদাভিত্তিক তথ্য ও জ্ঞান ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং আধুনিক ব্যবসায়িক কৌশল পৌঁছে দেয়া।
এ ধারাবাহিকতায় শিফটের উদ্যোগে শেরপুর এবং জামালপুর জেলায় শুরু হতে যাচ্ছে প্রথম পর্বের ‘ডিজিটাল বাণিজ্য মেলা ২০১৮’। ৮ মে শেরপুর সদর দিয়ে শুরু করে ১৫ মে জামালপুরের সরিষাবাড়ি দিয়ে মেলাটির প্রথম পর্ব সম্পন্ন হবে। শেরপুর সদরের এই মেলাটি উদ্বোধন করবেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক মল্লিক আনোয়ার হোসাইন।
এ মেলায় ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, মোবাইল ফোন সেবা, নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য এবং মুদি দোকানি ও জনসাধারণের জন্য নানান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অংশগ্রহণ করছে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা।
সিনেমা প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আচার প্রতিযোগিতা, সচেতনতার জন্য বাউল সংগীত ও মঞ্চনাটকের পাশাপাশি ডিজিটাল বাণিজ্য মেলায় থাকছে আরও অনেক কিছু।