আজিজুর রহমান : আমাদের জীবনের গল্প আস্তে আস্তে একদিন ফুরিয়ে যাবে শেষ হয়ে যাবে সব আনন্দ।সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে না ফেরার দেশে।দুদিনের এই রং এর শহরের সুখ,দুঃখ,বেদনা আর হাসির মাঝে কেটে যাবে হয়তো আমাদের বাকি জীবন।এই দুনিয়া কেউ কারোর নয়,বিপদের দিনে আপন জনেরাই দুরে সরে যায় আর স্বার্থের টানে হারিয়ে সব বন্ধুগুলো।কষ্টের কারণে গভীর রাতে চোখের অশ্রæ ঝরে আমাদের তবুও কাউকে বলা য়ায়,এভাবে চলে যায় আমাদের দিন।মধ্যবত্তি পরিবারের ছেলেগুলো জানে দরিদ্রতা কাকে বলে বুঝিয়ে দেয় আমরা কত অসহায়।মুখের মিষ্টি হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকে কত যে বেদনা,তবুও এ সব কথা আপন জনেরাই জেনেও না জানার অভিনয় করে যায় তারা প্রতিনয়ত। স্ত্রী,ছেলে ও মেয়ের সামনে একজন পিতা হয়ে কষ্টের কথাগুলি বলতে পারে না। তাদের সবকিছুর চাহিদা পূরণ করতে পারে না অসহায় পিতা।পিতার চোখে অশ্রæ ছল ছল করে তবুও স্ত্রী,ছেলে ও মেয়ের মুখে হাসির দেখার জন্য প্রতিদিন অভিনয় করে যেতে হয় দরিদ্র পিতার।প্রতিদিন সকালে ছেলে মেয়ে ঘুম থেকে উঠে পিতাকে বলে আব্বু বাজার থেকে আমাদের জন্য কি কিনে এনেছো তখন চোখে ছল ছল অসহায় পিতা সন্তানদের মিষ্টি ভাষায় দিয়ে বলে বাবা মারে কাছে তো টাকা নেই তাই বাজার কিছু আনতে পারিনি,তোমরা কেঁদে না আজ রাতে তোমাদের জন্য অনেক কিছু নিয়ে আসবো। এভাবে আর কয়দিন অভিনয় করে চলবে আমাদের জীবন।ঘরে অস্বাস্থ স্ত্রীর জন্য প্রতিদিন ঔষধ কিনতে হয় আর বাজার না করলে তো খাওয়া জঠে না।নুন আনতে পাতা ফুরায়ে আমাদের। পরিবারের সুখের জন্য রাতদিন পরিশ্রম করেও ঠিকমত সংসার চলে না আমাদের। কারণ এক দিকে কিস্তি তার পরেও আবার অস্বাস্থ স্ত্রীর জন্য ঔষধ কিনা।কিভাবে একজন অসহায় পিতা সংসার চালাবে তা কি কেই ভেবে দেখে।এভাবে দুশ্চিতায় দিনে দিনে ফুরিয়ে যাচ্ছে আমাদের জীবনের সব গল্প।