সরদার কালাম: সারা দেশে আজ আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে পড়েছে অবৈধ্য যৌনতায় প্রেমিক জুগল ।কিংবা অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে অবৈধ্য মিলনে।
যার খেসারত দিতে হচ্ছে হাজার থেকে কোটি নবজাতকের জীবন লাশে পরিনত হয়ে।যেটা বিভিন্ন গণমাধ্যমে হেডলাইলনে আলোর ঝল্কানিতে পরিনত হয়েছে।
পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে থাকছে নর্দমা,ডোবা কিংবা কোন ডাস্টবিনে নবজাতকের লাশ।কিন্তূ বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ্য সম্পর্কের সৃষ্টি নবজাতকের লাশের মিছিল ওই জাতিয় কুলাঙ্গারদের থেকে।যেটা আগামী দিনে নতুন প্রজন্মের চরিত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ বলে মনে করছেন শুশিল সমাজ।
সারা দেশে জন্ম নিচ্ছে ঠিকই আনন্দের ফসল নবজাতক।
কিন্তূ আনন্দের ফসল নামে নবজাতক এই প্রকৃতির আলো বাতাসে আর আনন্দ করতে পারছে না।
দুর্ভাগ্য সে নর্দমা, ডাস্টবিন কিংবা ভাসছে ডোবার জলে।
সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হয়ে ওই এহেন কর্মকান্ডকে ঘিরে কিছু কথা বলতেই হয় জঘন্য অপরাধ জীব হত্যা নিয়ে তোমাদেরই উদ্দেশ্যে – – হে আনন্দভোগীরা তোমাদের আনন্দ কি এখানেই শেষ?
কখনো কি করবে না বদ্ধ ঘরে দীর্ঘদিনের আনন্দ বিলাস?
বুঝবে বুঝবে সেদিন,যেদিন তোমাদেরই একান্ত চাওয়ার আনন্দের ফসলটিকে নিয়ে করছে কেউ না কেউ আরেক আনন্দ বিলাস ।
তবে সেটা তারও চাওয়া ছিল না,এটা যে তোমাদেরই পাপের প্রাশ্চিত্ব্য।
হয়তোবা সে আবারও তোমাদেরই ভয়ে তারই আনন্দের ফসল ভাসিয়ে দিবে কোন এক নর্দমা কিংবা তোমাদেরই দেখানো ডোবার জলে।
একবারও কি ভেবে দেখেছো,এমন ডোবার জলে তোমার জীবন যদি ভাসত?তুমি যে নিস্পাপ নবজাতকে গর্বে ধরে ভাসিয়ে দিয়েছো ডোবার জলে,সেও তোমার মত রক্ত মাংসে গড়া প্রাণবন্ত মানুষ হয়েই পৃথিবীর তাবৎ আনন্দ উপভোগ করতে চাইছিল।
কিন্তূ তুমি কি দিলে তার অধিকার?
দিলে কি তোমাদের ক্ষনস্থায়ী আনন্দের ফসলটিকে মা বাবা ডাক বলতে?
ধিক্কার! না ধিক্কার তোমাদের দিব না। ধিক্কার জানাই আমার নিজের সর্বাজ্ঞকে।ধিক্কার জানাই আমার কানকে,চোখকে এবং বোবা স্তব্ধ বিবেককে।কারন বেঁচে থেকেই দেখতে,শুনতে হচ্ছে প্রকাশিত বিভিন্ন মাধ্যমে নবজাতকের লাশ ভাসছে ডোবার জলে ।
কিন্তূ বিবেক মনুষত্ব্য সবই আজ স্তব্ধ বোবা।বন্ধ হচ্ছে এমন ঘটনা কোথা থেকেও একটা আভাস পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না সেই থেকে।তোমরা বিবেকহীন হয়ে হয়তোবা কোন এক নির্জনে আনন্দের ফসল তৈরি করেছো! আবার আনন্দের শেষে ছুঁড়ে ফেলে দিলে আনন্দের ফসল নিস্পাপ নবজাতকের লাশ করে ডোবার জলে বিবেকহীন ভাব। তোমাদের ধিক্কার না।
ধিক্কার তোমাদের জানাবো না পার্কে আনন্দে মাতাল হাওয়া হে কুলাঙ্গার জুগল।
ধিক্কার জানাই তোমাদেরই যারা গর্ভে ধরে,তোমাদের বাধ্য করেছে আনন্দের ফসল নবজাতককে ডোবার জলে ভাসিয়ে দিতে।
ধিক্কার জানাই এমন সুযোগ তৈরি কারকদের।
যাদের সুযোগেই ভাসতে হচ্ছে দিনের পর দিন নিস্পাপ নবজাতকে লাশ হয়ে ডোবার জলে।
আর আমরা সভ্য মানুষের দল নিমেষেই একটা জলজ্যান্ত প্রানটিকে ডোবার জলে ভাসতে দেখে কিংবা শুনে সাভাবিকের ন্যয় গল্পেই মেতে উঠছি।
এ যেন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার আনন্দঘন ব্যপার বিনষ্ট হয়ে ভাসতে থাকা নবজাতকের লাশ।
মনে হচ্ছে খেলোয়াড়রা খেলছে আর আমরা সেটাকে শুনে বা দেখেই চায়ের দোকানে স্বাভাবিক গল্পেই উড়িয়ে দিচ্ছি।করছি সেটাকে বিভিন্ন ভাবে রুপান্তরিত। একটি বারের জন্যে হলেও ভাবছি না কোন এক মানুষ রুপি কুলাঙ্গারের আনন্দের ফসলটিকে গর্ভের ভিতর থেকে জলজ্যান্ত প্রান নষ্ট করে ভাসিয়ে দিল নবজাতকের লাশের নামে ডোবার জলে।।একটা বারও ভাবছি না সেটাও যে ভাসছে সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠ জীব একটা মানুষেরই প্রান থেকে লাশ।
যে জুগল কিংবা গর্ভধারীনি নবজাতকের লাশটি ডোবার জলে ভাসিয়ে দিল সে কি ভিন জগতের মানুষ?
না সেও আমাদেরই সভ্যসাচী সমাজবদ্ধ মানুষেরই একজন।
হয়তোবা সে সমাজবদ্ধ কিন্তু মনুষত্ব্যহীন কুলাঙ্গারের কুলাঙ্গার ওই প্রেমিক জুগল।যার পাপের প্রাশ্চিত্ব্য করতে হচ্ছে সমাজে হাজার থেকে কোটি নবজাতককে লাশ হয়ে ডোবার জলে ভেসে।।
বন্ধ করো তোমাদের ওই ভুলে ভরা ক্ষনকর্মার অবৈধ্য যৌন আনন্দ।
বন্ধ করে দাও অবৈধ্য সম্পর্ক নিয়ে নবজাতকে লাশে পরিনত করা নির্জন এলাকা পার্ক কিংবা অন্য কোনো জায়গায় যাওয়া।
বন্ধ করো বন্ধ করো অভিশপ্ত জীবনের পথে পা বাড়ানো।তোমাদের শিক্ষাটি নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিও না।
তবে নতুন প্রজন্মের কাছে অনুরোধ, তোমরা ঐ পথের পথিক হইও না।
তাদের মত অভিশপ্ত হবে,অভিশপ্ত হবে তোমাদের সকল জীবন যাপন।
আর ডোবার জলে ভাসিয়ে নবজাতকের জীবনকে বিনষ্ট করোনা করোনা।
ওই ক্ষনস্থায়ী অবৈধ্য যৌনতায় মেতে ওঠা কুলাঙ্গারের দল তোমরা কি শুনতে পাও?
শুনে দেখো মনের গভীর থেকে।
কাঁদছে ওই লাশে পরিনত হওয়া নিস্পাপ নবজাতক পরপারে ।
তোমরা শুনতে পাওনা?
কান পেতে শুনে দেখো বিছানায় শুয়ে শুয়ে দুজনেই।
কি বলছে লাশে পরিনত হওয়া নিস্পাপ সন্তান।
সে বলছে!!আনন্দের মাঝে গর্ভে ধরলে যখন তখন বৈধ্য সম্পর্কে ধরলে না কেনো তোমরা?
তাহলে আর আমাকে ডোবার জলে ভাসতে হত না!!
মা ওমা,
বাবা ওবাবা,
তোমরা এটা কি করলে!তোমরা না হয় আনন্দভোগে অবৈধ্য ভাবে আমাকে গর্ভে জন্ম দিয়েছিলে কিন্তু আমার বাবা মা ডাকার বাকশক্তি’ত আর অবৈধ্য না।
কেনো আমার জীবনকে নষ্ট করে লাশে পরিনত করে ডোবার জলে ভাসিয়ে দিলে?
কি অপরাধ করেছিলাম মা /বাবা তোমাদের কাছে?
আমারওতো ইচ্ছা ছিল তোমাদের বৈধ্য যৌনতার মাঝে জন্ম নিয়ে বাবা মা ডেকে পৃথিবীর আলো বাতাস উপভোগ করার।
ইচ্ছা ছিল মা ওই মাটির বুকে আমার যে সহপাঠীরা দৌড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে,করছে ছুটে ছুটে নানান আনন্দের খেলা আমিও তাদের সাথে খেলব।খুব ইচ্ছা ছিল আমারও।
কিন্তূ কি করলে তোমরা আমার জীবনকে ডোবার জলে লাশ বানিয়ে ভাসিয়ে দিলে?মা,মনুষত্ব্যহীন পুরুষ না হয় যৌন খোরাক মেটাতে মাতিয়েছিল তোমাকে।
কিন্তূ মা,তুমি করলে তোমার গর্ভকে পৃথিবীর বুকে কলঙ্কিত??
তবে মা তোমাকে আর দোষ দিব না।
এটা যে আমার ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে, তোমাদের উভয়েরই আনন্দের পাপের ফসল হয়ে ডোবার জলে লাশ হয়ে ভাসতে হলো।
তুমি জানো না মা কত কষ্ট ভোগ করতে হয়েছিল ডোবার পচা-দূর্গন্ধ জলে।
যতটুকু সময় জীবিত ছিলাম ঐ দুর্গন্ধ জলে পোকা মাকড়ের কামড়ের অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে।
খুব কষ্ট হচ্ছিল মা জীবনটা হারিয়ে ওই সুন্দর দুনিয়া থেকে যেতে।
তবে তোমাকে অভিশাপ দিব না।
অপরাধী হলেও তুমি যে আমার গর্ভধারীনি মা।
তোমাকে অভিশাপ দিব না মা।
তবে একটি অনুরোধ মাগো তোমার কাছে।
আমার মত আর কাউকে ডোবার জলে ভাসিয়ে দিও না।
তোমার পথে আর কোনো নতুন প্রজন্মকে যেতে উদ্বুদ্ধ করোনা।।
নতুন প্রজন্মকে অন্ততঃ নিশেধ করো তোমার মত ভুল যেনো না করে।
হতে হয় না যেনো তাদের দ্বারা আমার মত নবজাতককে লাশে পরিনত।
সৃষ্টিকর্তার কাছে তোমাকে দোষী সাব্যস্ত করবো না।
কারণ তুমি যে আমার গর্ভধারীনি মা।।
সৃষ্টিকর্তাকে আমি সেই দিন বলে দিব।বলব,হে সৃষ্টিকর্তা উনিই’ত আমার গর্ভধারীনি মা,তুমি তাকে শাস্তি দিও না।
তবে মা তোমার কাছে অনুরোধ,তোমার গর্ভের আর কাউকে ডোবার জলে ভাসিয়ে দিও না।
আমি যে ডোবার জলে ভেসে কষ্ট পেয়েছি ওই কষ্ট আর কাউকে দিও না মা।।।
ইতি তোমার কলঙ্কিত গর্ভে ধরা আনন্দের ফসল,লাশে পরিনত হওয়া দুর্ভাগা নবজাতক সন্তান।
লেখক: সাংবাদিক