মোবাইল ফোন অপারেটরদের দেয়া সর্বনিম্ন কলরেট ২৫ পয়সা আর থাকছে না। আজ মঙ্গলবার মধ্যরাত (১২টা ১ মিনিট থেকে) সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা কলরেট করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সোমবার (১৩ আগস্ট) পাঠানো এই নির্দেশনায় সর্বনিম্ন কলরেট ৪৫ পয়সা এবং সর্বোচ্চ কলরেট হচ্ছে ২ টাকা করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মোবাইল ফোনকলে অফনেট ও অননেট পদ্ধতিও থাকছে না।
বর্তমানে একই অপারেটরে অননেটে কথা বলা যায় সর্বনিম্ন ২৫ পয়সায় আর অফনেটে অর্থ্যাৎ অন্য অপারেটরে কথা বলতে সর্বনিম্ন খরচ হয় ৬০ পয়সা।
ফলে রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে যেকোনো মোবাইল অপারেটরেই কথা বলা যাবে একই রেটে। নতুন এই নির্দেশনার ফলে গ্রাহক প্রতি খরচ বাড়বে প্রায় ৩০ শতাংশ।
ইতিমধ্যে অপারেটরগুলো এই নির্দেশনা কার্যকরের উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের প্রায় ১৪ কোটি গ্রাহকের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গ্রামীণফোন থেকে ৯০ শতাংশ কল হয় অননেটে, ১০ শতাংশ কল অফনেটে হয়।
অন্যদিকে সরকারের মালিকানাধীন অপারেটর টেলিটকের ১০ শতাংশ কল অননেটে ও ৯০ শতাংশ কল অফনেটে হচ্ছে। রবি ও বাংলালিংকের অননেট-অফনেট কলের পরিমাণ ৭০ ও ৩০ শতাংশ।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ কলরেট ১.৫০ টাকা করার কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত এটি ২ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মূলত মোবাইল নাম্বার পোর্টেবেলিটি (এমএনপি) বা একই নম্বরে থেকে অন্য অপারেটরের সুবিধা চালুর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এমএনপি চালুর আগেই এটি কার্যকর হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, অফলাইন-অনলাইন ভয়েস কলে ন্যুনতম ৪৫ পয়সা রেট ও সর্বোচ্চ দুই টাকা রেট নিশ্চিত করতে সবগুলো মোবাইল টেলিফোন অপারেটরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তৈমুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। এই সিদ্ধান্তের ফলে একজন গ্রাহক নিজ অপারেটর বা অন্য অপারেটরে কল করতে পারবেন একই রেটে। যা আগে সম্ভব ছিল না।
তিনি বলেন, আজ (সোমবার) বিকেলে বিটিআরসি থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাতে পেয়েছি। আমরা বিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছি।