আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কেশবপুরে আওয়ামীলীগ, বি.এন.পি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এলাকায় গণ-সংযোগ

90
লাল সবুজের কথা- Lal Sobujer Kotha

আজিজুর রহমান, কেশবপুর(যশোর)প্রতিনিধি: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যশোর -০৬ কেশবপুর আসন থেকে আওয়ামীলীগ, বি.এন.পি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের মোট ১৪ জন সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় গণ-সংযোগ শুরু করেছে।
এরমধ্যে আওয়ামীলীগের ০৭জন, বিএনপির ০৪ জন, জাতীয় পার্টির ০২ জন ও জামায়াতের ০১ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, কেশবপুরের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম. রুহুল আমীন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ.এম. আমীর হোসেন,আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাড. হুসাইন মোহাম্মদ ইসলাম, যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা শেখ রফিক ও ড. তাপস কুমার দাস।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বার বার নির্বাাচিত চেয়ারম্যান আবু বকর আবু, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান । জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ্যাড.আব্দুল মজিদ ও সাধারন সম্পাদক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ রানা।

এছাড়া এ আসন থেকে জামায়াত ইসলামীর একক প্রার্থী হলেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর ও কেশবপুর সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যাপক (ইংরেজী) মোক্তার আলী। আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি, জামায়াতের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে আওয়ামীলীগ ও বিএনপিতে দলীয় দ্বিধাবিভক্তের কারনে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছেন। তাই, নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি, জাতীয়পার্টি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন গণসংযোগের কাজে ব্যাস্ত রয়েছেন। আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান এমপি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম. রুহুল আমিন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ.এম. আমীর হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাড. হুসাইন মোহাম্মদ ইসলাম।

এ দিকে বিএনপি’র প্রার্থীদের মধ্যে আবু বকর আবু , আবুল হোসেন আজাদ, অমলেন্দু দাস অপু, জাতীয় পার্টির এ্যাড. আব্দুল মজিদ ও আব্দুল লতিফ রানা ও জামায়াতের অধ্যাপক মুক্তার আলী কে এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনা করতে দেখা গেলেও বাকী প্রার্থীরা প্রচারনার বাইরে রয়েছেন। ২০দলীয় জোটের শরিক জামায়াতের প্রার্থী অধাপক মুক্তার আলী বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে নির্বাচনী প্রচারনা অব্যাহত রেখেছি। এই আসনে জোট থেকে তাকেই প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত ঘোষনা করা হবে বলে তিনি আশাবাদি।