বিশেষ প্রতিবেদক ।। আকাশ থেকে যতই নামছে অঝোরে জল,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুন্দর মনোরম পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে না পেরে কাঁদছে শিক্ষার্থী এবং সেই সাথে জলে জলাকারে পরিনত হয়ে কাঁদছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পানিবন্দি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সঠিক ভাবে ক্লাস করাতে ব্যহত হওয়ায়,শিক্ষার্থীদের পরিক্ষার ফলাফল খারাপের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তাগ্রস্থ শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
বর্ষা মৌসুমের সেই পুরানো ব্যাথায় চাপ দিল শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ আশপাশে অবস্থানরত ভুক্তভোগী সকল শ্রেণীর মানুষের।ভুক্তভোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে সাংবাদিকরা ভুরি ভুরি নিউজ করেও কতৃপক্ষের নজরে আনতে পারছেন না কোন ভাবে সেই আগে থেকেই। রয়ে গেল ভোগান্তির অতল গহ্বরে জাতির কর্নধর হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ।
ভুগছেন কর্নধর বানানো প্রতিষ্ঠান, শিক্ষকসহ অভিভাবকরা দুশ্চিন্তা নিয়ে এবং পার্শ্ববর্তী অবস্থানরত অনেকেই।
সামান্য বৃষ্টি হলেই ব্যহত হচ্ছে পাঠদান ও গ্রহণে শিক্ষাঙ্গনের শ্রেণীকক্ষে।
প্রতিষ্ঠানে একবার ঢুকলে বেরোতে কোমর পানি এবং ঢুকতে গিয়ে বই খাতা পোশাকসহ নিজেরা ভিজে যাওয়ার ভয়ে বাড়িতে ফিরে যায় শিক্ষার্থীরা। উভয় দিকেই কষ্টে ঝরছে চোখের জল তাদের। এযেনো পাল্লা দিয়ে ঝরছে শিক্ষার্থীদের চোখের জল ও আকাশ থেকে বর্ষা মৌসুমের হালকা কিংবা মাঝারি আকারের ঝরা জলের তামাশা।
বর্ষার বিষয়টি কিছুই করার নেই, এযে প্রকৃতির চিরায়ত নিয়ম। কিন্তূ পানি,পানি নিষ্কাষনসহ নিচুঁ স্থান উঁচু করতে ‘ত আর প্রকৃতির উপর ছেড়ে দিলে সমস্যা সমাধান হবে না সেটাতো সমাজের সংশ্লিষ্টদের হাতেই সিমাবদ্ধ। কিন্তূ ভোগান্তি পেতে হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে তাদের। ভুগছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ সকলেই। শিক্ষকদেরকে যেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষাদানে,তেমনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণ করে ভাল রেজাল্ট করতেও আশঙ্কায় থাকতে হচ্ছে ।
যার কারণে পরিক্ষার রেজাল্ট খারাপের ভাবনায় স্তম্ভিত হতে হচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বর্ষা মৌসুম এলেই।
পরিক্ষার ফলাফল খারাপের আশঙ্কার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্ষা মৌসুমে প্লাবিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
সম্পুর্ন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে শিক্ষাঙ্গন।
কিন্তূ পানি নিষ্কাষনসহ অন্যান্য সমস্যার যথাযথ সমাধান হচ্ছে না কোনো ভাবেই শিক্ষাঙ্গনের,বলে এমনই সব ক্ষোভের ভাষা প্রকাশ করে সকল শিক্ষার্থীরা।
২৬শে জুলাই বুধবার দুপুরের দিকে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সাতক্ষীরার কলারোয়া বেত্রবতী হাইস্কুলের অবস্থা খুবই নাজুক ।
চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই চলছে এমন ভোগান্তি এবং উল্লেখ বাস্তব কথাচিত্র ফুটে ওঠে ।বুধবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায় ওসব কথা ।দেখা যায়,পানিতে থৈ থৈ অবস্থা শিক্ষাঙ্গনের চতুর্দিক।
সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ক্লাস ছেড়ে দৃশ্যটি দেখছেন হতবাক হয়ে দীর্ঘদিন থেকে ভোগান্তি পোহানো পানিতে একাকার হওয়া স্থানের।তারই ফাঁকে শিক্ষার্থীরা অনেকেই হেয়ালীপনায় ক্ষোভ নিয়ে বলে উঠল যে,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি দীর্ঘদিন ধরে নদীর জলের মত অবস্থায় পরিনত হতে থাকে,ভালভাবে লেখাপড়া করতে না পারি তাহলে সেখানে মাছ চাষ করাই ভালো।যেটা শুনতেও লজ্জাকর সচেতন মহলে এবং দেখতেও বেমানান শিক্ষাঙ্গন হিসেবে।
এই লজ্জা আসলে কাদের ?
কথা হয় কলারোয়া পৌরসদরস্থ বেত্রবতী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান কামরুলের সাথে – তিনি বলেন,দীর্ঘদিন ধরে বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের।
ডুবে থাকছে শিক্ষাঙ্গনসহ চলাচলের রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে।আমি নিজেও একজন সাংবাদিক এবং শিক্ষক।তবুও লেখনী ছাড়া ‘ত কিছুই করার নেই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে, হলে শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্ট হলেও।যতটুকু সম্ভব সেটাই চেষ্টা করেছি একাধিক বার সমস্যাবহুল স্থান ও পার্শ্ববর্তী মানুষ ভোগান্তি লাঘবে সংবাদ পরিবেশন করে।
যেটা ভুরি ভুরি নিউজ করেন অনেক সাংবাদিকরা শিক্ষাঙ্গন অবহেলিত হয়ে পানিতে ডুবে থাকার কারণে।
তাছাড়া শিক্ষাঙ্গনই যদি অবহেলিত থেকেই যায় এবং শিক্ষার্থীদের যথাযথ পাঠদান ব্যহত হয়,তাহলে এর মত দুঃখ জনক ব্যপার আর হতে পারে না বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এবং একই ভোগান্তির কথা ব্যক্ত করেন ওই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
চার শতাধিক শিক্ষার্থীর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধানকল্পে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানান,ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান কামরুলসহ সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে ।
এছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান কামরুল তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাতক্ষীরা – ১ তালা, কলারোয়ার এমপি – সংসদ সদস্য এ্যাড,মোস্তফা লুৎফুল্যাহকেও নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সুদৃষ্টিতে আনার দাবি করেন।