আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক এমপি বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার সমাজের অবহেলিত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। দেশের অগ্রযাত্রাকে রুখতে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্র করে চলেছে। কোন ষড়যন্ত্রই আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা রুখতে পারবে না। শুক্রবার কেশবপুরের নিজ বাসভবনে মঙ্গলকোট ইউনিয়ন যুবলীগের নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার পূর্বে মঙ্গলকোট ইউনিয়ন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক এমপিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র বিশ্বাস শহীদুজ্জামান শহীদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন মঙ্গলকোট ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আল আলাল দিলু, গৌরিঘোনা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আসাদ মোল্লা, হাসানপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক তুহিন রেজা, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এস এম আল হেলাল, টিপু সুলতান, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, এস এম জিল্লুর রহমান প্রমুখ। ওইদিন সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের ঘাঘা ও বসুন্তিয়া গ্রামে উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোসলেম উদ্দীন সরদারের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তপন কুমার ঘোষ মন্টু, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর রফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা পরিষদের সদস্য হাসান সাদেক, ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক, সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম রায়, শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল, দফতর সম্পাদক মফিজুর রহমান মফিজ, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র বিশ্বাস শহীদুজ্জামান শহীদ, মঙ্গলকোট ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আল আলাল দিলু, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার আব্দুল আজিজ, উপজেলা বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের আহবায়ক সবুজ হোসেন নিরব, ওই এলাকার গৃহবধূ করিমুন নেছা, রেহেনা খাতুন, ইসমাইল সরদার, আবুল হোসেন, মুনসুর আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী সাধারণ জনগনের মুখোমুখি হয়ে তাদের চাওয়া পাওয়ার কথা শুনেন।
বৈঠকে এলাকার নারী পুরুষ, ছাত্র শিক্ষক, তাদের বসত বাড়ি, ছেলে মেয়ের চাকুরি, রাস্তাসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে ইসমাত আরা সাদেক বলেন, কেউ বেকার থাকুক, গৃহহারা থাকুক প্রধানমন্ত্রী সেটা চান না। এই গ্রাম আমার কাছে তীর্থস্থানের মতো। আমার স্বামী প্রয়াত শিক্ষামন্ত্রী সাদেক সাহেবের বাড়ি এই এলাকাতেই। এই গ্রামসহ কেশবপুরের সকলের আকাঙ্খা পুরন করবো। আপনারা শুধু আমাকে একটু সময় দেবেন। আমি কেশবপুরে রাস্তা করেছি, খাল, নদ-নদী, ব্রীজ সংস্কার করেছি। সকলের বাড়ি বিদ্যুত দিয়েছি। খাল খনন হবে নদী খনন হবে। আমি চেষ্টা করছি আরও উন্নয়ন করার জন্য। আগামীতে ক্ষমতায় আসলে সকল উন্নয়ন করা হবে। উঠান বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানূর রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লা, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ-উজ-জামান খান, সদস্য কে এম কবীর হোসেন প্রমুখ।