অ্যাথেনা স্যাটেলাইট থেকে ইন্টারনেট সেবা দেবে ফেসবুক

22
স্যাটেলাইট থেকে ইন্টারনেট সেবা দেবে ফেসবুক
স্যাটেলাইট থেকে ইন্টারনেট সেবা দেবে ফেসবুক

আকাশ থেকে যাতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট বিম করা যায়, সে হার্ডওয়্যার তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক একটি কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) তৈরিতে কাজ করছে, যা আকাশ থেকে মাটিতে ইন্টারনেট সুবিধা দিতে সক্ষম হবে। উইয়ার্ড ম্যাগাজিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ফেসবুক বলছে, তারা এমন একটি ইন্টারনেট স্যাটেলাইট তৈরি করছে, যা বিশ্বের যেসব এলাকায় সহজে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যায় না, সেখানে কার্যকর ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা দিতে পারবে। পয়েন্ট ভিউ টেক এলএলসি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনে (এফসিসি) পেটেন্ট আবেদন করা হয়েছে। ফেসবুক বলেছে, পয়েন্ট ভিউ টেক এলএলসির পেছনে তারাই কাজ করছে।

ফেসবুকের তৈরি ইন্টারনেট স্যাটেলাইটটির নাম হবে অ্যাথেনা।

অ্যাথেনা প্রকল্প শুরুর আগে আকাশ থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ড্রোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা দিতে ‘অ্যাকুইলা’ নামে একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছিল ফেসবুক। সম্প্রতি প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। অ্যাকুইলা প্রকল্প বন্ধ করার সপ্তাহখানেক পরেই অ্যাথেনা প্রকল্পের কথা জানা গেল।

ফেসবুক বলেছে, আকাশে উড়তে থাকা সৌরশক্তিচালিত স্বয়ংক্রিয় ড্রোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধার প্রকল্পটি আর চালানো হবে না। এর পরিবর্তে অ্যাকুইলা ইন্টারনেটচালিত উড়োজাহাজের জন্য সফটওয়্যার সিস্টেম তৈরির কাজ করবে।

গত জানুয়ারি মাসে গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেট কর্তৃপক্ষও তাদের সৌরশক্তিচালিত ড্রোন প্রকল্প থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়। গুগল বেলুনের মাধ্যমে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট দেওয়ার প্রকল্প ‘প্রজেক্ট লুন’ বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ ছাড়া থার্ড পার্টির ইন্টারনেট স্যাটেলাইট প্রকল্পে কৌশলগত বিনিয়োগ করছে।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ এখনো অনলাইনের বাইরে। এসব মানুষকে অনলাইনের আওতায় আনতে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ মাইল ওপরে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়ে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া যায়। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ঘিরে তাই বড় শিল্প গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতকে স্পেসএক্সের মতো প্রতিষ্ঠান ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। গত ফেব্রুয়ারিতে স্পেসএক্স প্রথম স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে।

ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেছেন, নির্দিষ্ট প্রকল্প সম্পর্কে জানানোর মতো এখন কিছু নেই। তবে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি পরবর্তী প্রজন্মের ব্রডব্যান্ড অবকাঠামোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড সেবা আনা যাবে।