মোঃ জাবের হোসেন:
কৃষিই সমৃদ্ধি
” অপ্রতিরোধ্য দেশের অগ্রযাত্রা
ফলের পুষ্টি যোগাবে নতুন মাত্রা”
প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অাশাশুনিতে বৃক্ষরোপন অান্দোলন ও ফলদ বৃক্ষমেলা -২০১৮ উপলক্ষে র্যালি,উদ্ধোধন ও অালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (৭ই জুলাই) উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে অাশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে এ বৃক্ষমেলার শুভ উদ্বোধন করা হয়।যেটি অাগামী দুই দিন পর্যন্ত চলবে।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন অাশাশুনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাফ্ফারা তাসনীন।উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার বেগম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: অরুণ ব্যার্ণাজী, বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন, অাশাশুনি কৃষকলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান স.ম সেলিম রেজা (সেলিম), উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ম্যাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকি বিল্লাহ,অাশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি জি.এম মুজিবর রহমান প্রমূখ।উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অাশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স.ম সেলিম রেজা (মিলন)।
এ সময় বক্তরা বলেন প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে সকল বীর শহীদের স্মরণে ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ বৃক্ষ সারা দেশে রোপন করা হয়েছে।সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।তারই ফলশ্রুতিতে অাজ অাশাশুনিতে বৃক্ষমেলার অায়োজন করা হয়েছে।বক্তারা বলেন প্রত্যেকের বছরে অন্তত্ব ২ টি করে গাছ লাগানো উচিত।সবাইকে গাছ লাগানোর প্রতি অাহ্বান জানান।
ইউএনও তার বক্তব্যে বলেন, উপজেলার প্রতিটা দপ্তরকে অাম গাছ দেওয়া হবে দপ্তরের নিজস্ব জায়গায় লাগানোর জন্য।এছাড়া তিনি বলেন এখন বর্ষার সময় বজ্রপাত হয় বেশি, এজন্য সকলকে বেশি বেশি করে তাল গাছ লাগানোর অাহ্বান জানান।
ইউএনও’র উপস্থিতিতে সকলেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন বৃক্ষ রোপন ও পরিচর্যা করার
ইউএনও তার বক্তব্যের শেষে উপস্থিত সবাইকে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করান অাগামী ১৫ দিন পর থেকে অাশাশুনিতে রাস্তা-ঘাটে,হাঁট-বাজারে উন্মুক্ত জায়গায় যদি কেউ গরু,ছাগল,ভেড়া ইত্যাদি ছেড়ে দিয়ে ফসল বা গাছের ক্ষতি করে তাহলে উক্ত গরু-ছাগল ধরে খোয়াড়ে দেয়ার জন্য।এছাড়া ইউএনও নির্দেশ দেন অাশাশুনি উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যানকে উক্ত প্রাচারটি যেনো মাইকিং করে প্রচার করেন।এবং উক্ত প্রচারনাটি যাতে সকল চেয়ারম্যানেরা করেন তার জন্য অফিশিয়াল নোটিশে জানিয়ে দেওয়া হবে।এছাড়া অাগামীকাল উক্ত মেলার স্থলে প্রতিযোগিতার অায়োজন করা হবে।এবং উক্ত বৃক্ষমেলায় যে সকল নার্সারী অংশগ্রহণ করেছে তাদের মধ্য থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান প্রাপ্তদেরকে পুরষ্কার দেওয়া হবে । সবশেষে অতিথিবৃন্দরা মেলায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্টলে গাছের চারা দেখেন।