মে. রিপন হোসাইন,পাটকেলঘাটা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সুশিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট যুগোপযোগী করে গড়তে তুলতে সৃজনশীল পদ্ধতি অবলম্বন করছে। ইতিমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এ পদ্ধতির ব্যবহার শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকারও মান সম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার উপর গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। কিন্তু তালা উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। ২০১৮ সালে তালা উপজেলা এইচএসসি পাশের হার এক বারে নিম্ম স্কোরে চলে এসেছে । এর অন্যতম কারন হলো শিক্ষকদের দলীয় গ্রæপিং, ঘরোয়া কোচিং বানিজ্যসহ নানান সমস্য জড়িত।
বর্তমানে নোট গাইডের ফাঁদে আটকা পড়েছে উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা। স্থানীয় শিক্ষা ব্যবসায়ীরা প্রতিমাসে কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কোচিং করার কারনে ছাত্র ছাত্রীদের শ্রেনী কক্ষে উপস্থিতি অকোংশে কমে গেছে । সাধারন শিক্ষার্থীরা আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পূর্বক প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে এইসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে ব্যাপক ধস নেমে এসেছে। এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও প্রকৃতপক্ষে শিক্ষার মানউন্নয়ন হয়নি। সংশ্রি¬ষ্টদের আন্তরিকতার অভাবই এর জন্য দায়ী বলে সচেতন মহল ও অভিভাবকগনের ধারনা ।
সূত্র মতে, সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে অবস্থিত ডিগ্রী , ইন্টার মিডিয়েট, কারিগরি ও কলেজিয়েট কলেজের সংখ্যা (সরকারী -বেসরকারী) ১৩ টি । এদের মধ্য সবচেয়ে ফল বিপর্যয় ঘঠেছে পাটকেলঘাটা হারুণ-অর রশিদ কলেজ পরীক্ষার্থীদের ১৯০মধ্যে কৃতকার্য হয়েেেছ মাত্র ৬৮জন,সুভাষীনী কলেজ পরিক্ষার্থী ৬২ কৃতকার্য হয়েছে ১৩জন,কে,এম,এস,সি কলেজ পরীক্ষার্থী ২৭জন কৃতকার্য হয়েছে ২ জন ,মাগুরা আই,ডি,আল কলেজ পরীক্ষার্থী সংথ্যা ৫৫জন কৃতকার্য হয়েছে ১৮জন।
এ সব শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ফল বিপর্যয় আসছে। কিন্তু সংশ্রিষ্ট কারো মাথা ব্যাথা নেই । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রায় শতাধিক পদ শূন্য থাকলেও সংশ্রি¬ষ্ট কারও মাথা ব্যাথা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবকেরা জানায়, প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক শ্রেনীর শিক্ষকরা রাজনীূতি কারনে গ্রæপিং, ঘরোয়া কোচিং ও টিউশনি নিয়ে শিক্ষার নামে জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ।
স্ব স্ব স্কুল কলেজের অংক ইংরেজী,তধ্য প্রযুক্তি ,বাংলা শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়লে তাদের পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেওয়ার কথা বলে তাদেরকে চাপের মুখে পড়তে বাধ্য করানো হয়ে থাকে। বিশেষ করে কলেজে ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে শিক্ষক নিয়োগ পূর্বক শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করানোর ফলে শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক অন্তরায় বলে জানা গেছে।
বর্তমানে এ উপজেলার অলিতে গলিতে বিগত দিনে প্রকাশ্য কোচিং বানিজ্য থাকলেও বর্তমানে সেটা ঘরোয়া কোচিয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। প্রায় শতাধিক শিক্ষা ব্যবসায়ীরা নিজেদের নাম পদবী সম্বলীত সাইন বোর্ড ও কাপড়ের ব্যানার টাঙিয়ে কৌশলে হাতিয়ে চলেছে লাখ লাখ টাকা। এদিকে উপজেলায় অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রচুর শিক্ষা উপকরনের অভাব রয়েছ্।ে বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই সীমানা প্রাচীর, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, ধর্মীয় কোন প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট, প্রয়োজনীয় কমনরুম ও ক্লাস রুম সংকট থাকা সহ নেই সুযোগ্য পরিচালনা পরিষদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সচেতন অভিভাবকমহল জানান কলেজের শিক্ষকরা এখন অতিরিক্ত ক্লাসের নামে ঘরোয়া কোচিং বানিজ্য মেতে উঠেছে। প্রতিমাসে ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে থাকে। সাথে শিক্ষকদের দেওয়া নিসিদ্ধ ঘোষিত গাইড নোট বই কেনা বাধ্যতা মুলক হওয়ায় সাধারন শিক্ষাথীরা নানা সমস্যায় পড়েছে ।জোর করে শিক্ষার্থীদের নিন্মমানের গাইড বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।সরকারের বাস্তবমুখী পদক্ষেপে পিতৃ-মাতৃ স্নেহের মাধ্যমে পাঠদানের পরিবর্তে শিক্ষকরা খামখেয়ালীপনা ক্লাস নেওয়ার কারনে শিক্ষার মান ক্রমাগত নিম্ন মুখী হতে চলেছে। শিক্ষা খাতে বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ বরাদ্ধ দিয়ে শিক্ষার এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা হারুণ-অর রশিদ কলেজ (ভাবপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ হাবিবুব রহমানের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে কলেজ ফল বিপযর্য়ে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান শিক্ষকদের মধ্যে কোন্দলের কারনে মনে বলে মনে করেন ।
এ দিকে স্থানীয় সচেতন অভিভাবক মহল শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সংশি¬ষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।